যশোর জেলার সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ডিজিটাল হাজিরা মেশিন তিন বছর ধরে অকেজো হয়ে পড়ে আছে। মেশিন নষ্ট থাকায় এনালক পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীদের খাতায় হাজিরা নেয়া হয়েছে । অথচ এ মেশিন চালুর ব্যাপারে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস থেকে উদ্যোগ গ্রহণ হ”েছ না।
শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ডিজিটাল কার্যক্রমের আওতাভুক্ত করার লক্ষ্যে২০২৮ সালে ডিজিটাল হাজিরা মেশিন ¯’াপনের কার্যক্রম শুরু করা হয়। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে অর্থায়নে জেলার ১ হাজার ২৯৩টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ¯’াপন করা হয় ডিজিটাল হাজিরা মেশিন। এরপর চালু করা হয় মাল্টিমিডিয়া পদ্ধতিতে পাঠদান কার্যক্রম।
অথচ মাল্টিমিডিয়া পদ্ধতিতে পাঠদান কার্যক্রম থাকলেও তিন বছর ধরে ডিজিটাল হাজিরা মেশিন অকেজো হওয়া এনালক পদ্ধতিতে খাতায় শিক্ষার্থীদের হাজিরা নেয়া হ”েছ।
সদর উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জেসমিন আক্তার জানান, বিদ্যালয়ের এ মেশিন ¯’াপনের এক বছর পর স্কীন ঘোলা হয়ে নষ্ট হয়ে গেছে। তখন মেশিন আর কাজ করতো না। এজন্য খুলে রাখা হয়েছে।
ইন্সটিটিউট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সৈয়দা শিরিন সুলতানা জানান, ডিজিটাল হাজিরা মেশিন ¯ স্থাপনের বছর পরে আঙ্গুলের ছাপ নিতো না। ২০২০ সালে করোনা ভাইরাসের সময় বিদ্যালয় বন্ধ থাকার কারনে ডিজিটাল হাজিরা মেশিন পুরোপুরি ভাবে নষ্ট হয়ে গেছে। এখন খাতায় শিক্ষার্থীদের হাজিরা নেয়া হ”েছ। একই কথা বলেন উপশহর শহিদ স্মরণী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহজাদ হোসেন বাবু।
অথচ ডিজিটাল হাজিরা মেশিন চালুর বিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস থেকে কোন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে না।
সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মাহাবুবুর রহমান জানান ডিজিটাল হাজিরা মেশিন সংস্কার বা নতুন করে ¯ স্থাপনের জন্য শিক্ষা অধিদপ্তরে থেকে কোন বরাদ্দ নেই। একারনে ডিজিটাল হাজিরা মেশিন চালু বিষয়ে কোন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি। একই কথা বলেন চৌগাছা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোস্তাফিজুর রহমান।
এ ব্যাপারে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আশরাফুল আলম বলেন, ডিজিটাল হাজিরা মেশিন চালু বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে কোন নির্দেশনা আসেনি।