অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে , নীলফামারী জেলা ডিমলা উপজেলার সদরের বাবুরহাট এলাকায় আমজাদ হোসেন সরকারের ছেলে ও ডিমলা ইসলিয়া ডিগ্রী কলেজের ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জহুরুল ইসলাম গত ১১ বছর আগে ১২ শতক জমি ক্রয় করেন।বর্তমানে তিনি ওই জমিতে তিন তলা বিশিষ্ট ভবনির্মাণ শুরু করে ইতিমধ্যেই এক তলা ভবনের নির্মাণ কাজ শেষ করেন। ভবন নির্মাণের কাজ শুরুর পর হতে পার্শ্ববর্তী মৃত ক্ষিতিশ চন্দ্র রায়ের ছেলে দীপক চন্দ্র রায় (৩৫)এর০ সাথে চলা চলের রাস্তা নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হলে দীপক কুমার রায় প্রতিহিংসা বসত তার পক্ষীও লোকজন নিয়ে কলেজ শিক্ষক জহুরুল ইসলামের ভবন ঘেঁষে গভীর গর্ত করেন। সৃষ্ট গর্তের কারণে শুক্রবার সকালে শিক্ষক জহুরুল ইসলামের সীমানা প্রাচির ধসে পড়েছে । ঝুঁকিতে পড়েছে সদ্য নির্মিত ভবনটি। আশঙ্কা করা হচ্ছে যে কোন মুহূর্তে ভবনটি ধসে পড়ে বিধস্ত হতে পারে। এ ব্যাপারে জহুরুল ইসলাম বাদী হয়ে ডিমলা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছে। ডিমলা ইসলামিয়া ডিগ্রী কলেজের শিক্ষক জহুরুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন,জমিটি অভিযুক্ত দীপক কুমার রায়ের নিকট থেকে ক্রয় করার পার হতেই দাতা দীপক কুমারের সাথে চলাচলের রাস্তা নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হয়। সেই বিরোধ কে কাজে লাগিয়ে দীপক চন্দ্র রায় এ ও তার লোকজন আমার অনুপস্থিতির সুযোগে আমার সদ্য নির্মিত ভবন ঘেসে গভীর গর্ত তৈরি করে এর ফলে শনিবার আমার নির্মিত প্রাচীর সীমানা ধসে পড়েছে। গভীর গর্তের কারণে আমার সদ্য নির্মিত ভবনটিও ঝুঁকিতে পড়েছে । ভবনটি যে কোন মুহূর্তে ধসে পড়তে পারে। আমি পরিবার-পরিজন নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় আছি কখন যে ভবনটি ধসে পড়ে।
এ ব্যাপারে ডিমলা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ফজলে এলাহী জানান, উক্ত ঘটনা নিয়ে ইতিপূর্বেও অভিযোগ পাওয়া গেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সেটি বিজ্ঞ আদালতে এখন বিচারাধীন রয়েছে। গভীর গর্তের কারণে প্রাচীর দেয়াল ধসে পড়ার বিষয়ে আবারো অভিযোগ পাওয়া গেছে, বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।