মোহনগঞ্জ খুরশিমূল উচ্চ বিদ্যালয় সমস্যায় জর্জরিত চরম দুর্ভোগে শিক্ষার্থীরা

হামিমুর রহমান চৌধুরী প্রকাশিত: ২২ মে , ২০২৫ ১৫:৩৩ আপডেট: ২২ মে , ২০২৫ ১৫:৩৩ পিএম
মোহনগঞ্জ খুরশিমূল উচ্চ বিদ্যালয় সমস্যায় জর্জরিত চরম দুর্ভোগে শিক্ষার্থীরা

মোহনগঞ্জ খরশিমূল উচ্চ বিদ্যালয় অসংখ্য সমস্যায় জর্জরিত। চরম কষ্টে চলে পাঠদান।শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ নিয়ে চলছে কার্যক্রম। হতাশায় শিক্ষকেরা, কতৃপক্ষের কাছে প্রধান শিক্ষকের দাবী সমাস্যা সমাধানের। উপজেলার মাঘান শিয়াধার ইউনিয়নের খুর্শেমূল  উচ্চ বিদ্যালয়টি হাওরাঞ্চলের একটি ঐতিহ্যবাহী  বিদ্যালয়। ডিঙ্গাপোতায় হাওরের পার ঘেঁষে ৭০ বছরের পুরনো  এ বিদ্যালয় থেকে অনেক শিক্ষার্থী শিক্ষা নিয়ে দেশের বিভিন্ন উচ্চ পদস্থ পদে অধিষ্ঠিত হয়ে দেশ পরিচালনায় ভূমিকা পালন করে আসছেন ।বর্তমানে এ বিদ্যালয়টি ভবন সংকট সহ একাধিক সংকট নিয়ে পাঠদানে চরম দুর্ভোগের পড়েন শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয়ে ৬ষষ্ট শ্রেণি হতে দশম শ্রেণি পর্যন্ত ৫ শ ১৭ জন ছাত্র ছাত্রী রয়েছেন। তা ছাড়া এবার এসএসসি পরিক্ষায় ৮৭ জন শিক্ষার্থী অংশ গ্রহণ করেন। 
বিদ্যালয়ে একটি পুরনো ভবন রয়েছে, যেখানে কোন রকম পাঠদান ও অফিসিয়াল কাজ চলে।
পাশে আরেকটি জরাজীর্ণ  দু তলা ভবন গত ৪ বছর আগে সংস্কার করলেও সেখানে পাঠদানে অনুপযোগী হয়ে পরেছে। সে সময়ে টিকাদারের নয় ছয় করে সম্পন্ন করা কাজ কয়দিন  যেতে না যেতেই  ভেঙ্গে যায় অনেকাংশ। দুতলা ক্লাস নেয়া অতি ঝুঁকপূর্ণ হওয়ায় সেখানে ক্লাস নেয়া বন্ধ রয়েছে। 
তবুও শ্রেণি কক্ষের সংকট থাকায় নিচ তলায় তিনটি কক্ষে ঝুঁকিপুর্ণ অবস্থায় চলে ক্লাস। শিক্ষার্থীদের গাদাগাদী করে বসিয়ে নিতে হয় পরিক্ষা।
দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী মারজান আক্তার জানান, বিদ্যালয়ে পানি ও ওয়াসরুম সমস্যার কারণে প্রায় সময় মেয়ে শিক্ষার্থীরা  বিপদে পরতে হয়। ব্রেঞ্চ সংকট একসাথে অনেক শিক্ষার্থী গাদাগাদি করে বসতে কষ্ট হয়, তখন পড়ায় মনোযোগী হওয়া যায়না।মাঠে জলাবদ্ধতা থাকে।খেলায় কোনও সুযোগ নেই। বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক পাপিয়া আক্তার খাতুন বলেন, বিদ্যালয়টি অসংখ্য সমস্যায় জর্জরিত, অন্তত একটি ভবন জরুরি প্রয়োজন,শ্রেণি কক্ষ সংকটে পাঠদানে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়,সুপিয়ো পানি নাই,একিট টিউব ওয়েল আছে তার আয়রন সমস্যা, ওয়াসরুমের সমস্যা, বিদ্যালয়ের মাঠটি নিছা হওয়ায় বৃষ্টির পানি লেগে কাদা হয়ে থাকে,  শিক্ষার্থী বা শিক্ষক সবাই কাদার করাণে জুতা খোলে কাদা মাঠ হেটে স্কুলের বারান্দায় এসে পা ধুয়ে ক্লাসে ঢুকতে হয়।একটি মিলনায়তন প্রয়োজন, সীমানা প্রাচীর ভাঙা তা সংস্কার সহ স্কুলটির সকল সমস্যা সমাদানের জন্য কতৃপক্ষের কাছে জোর দাবী জানান প্রধান শিক্ষক সহ ১৯ জন কর্মরত শিক্ষক।

এই বিভাগের আরোও খবর

Logo