ইছামতি নদী দিয়ে ঢুকছে ভারতীয় পানিঃ শার্শার সীমান্ত এলাকা প্রাবিত,বন্যার আশংকা

মোঃ শাহিদুল ইসলাম প্রকাশিত: ১১ আগস্ট , ২০২৫ ১৬:৩৮ আপডেট: ১১ আগস্ট , ২০২৫ ১৬:৩৮ পিএম
ইছামতি নদী দিয়ে ঢুকছে ভারতীয় পানিঃ শার্শার সীমান্ত এলাকা প্রাবিত,বন্যার আশংকা

 নিম্নচাপ ও ভারতীয় ইছামতি নদীর জোয়ারের পানি অব্যাহত ভাবে প্রবেশ করায় যশোরের শার্শা উপজেলার রুদ্রপুর, বাইকোলা, ভবানীপুর, দাউদখালী, গোগা বিলপাড়া,আমলাই ও কায়বা গ্রামের শতাধিক পরিবার পানি বন্দী জীবন যাপন করছেন। মাট ঘাট ডুবে গেছে।কয়েকটি স্কুলের মাঠ ডুবে গেছে। অনেকের ঘর বাড়িতে পানি প্রবেশ করেছে।গোখাদ্যের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে।  জনজীবনে নেমে এসেছে অশান্তি। অনেকের উনুনে পানি ওঠার কারনে রান্না করতেও অসুবিধা হচ্ছে। গো খাদ্যের অভাবে কচুরিপানা পানা খাওয়ানো হচ্ছে গবাদিপশুদের।বন্যার আশংকা করছে এলাকাবাসী।
রুদ্রপুর গ্রামের মফিজুল ইসলাম জানিয়েছেন, তার বাড়ির চারপাশে মাজা সমান পানি। কলার ভেলায় করে তিনি যাতায়াত করছেন। আবুল হোসেন জানিয়েছেন, তার মহল্লার ২৫/৩০ টি পরিবার গ্রাম থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। তারা এখন নৌকায় যাতায়াত করছেন। মসজিদে যেতেও নৌকায় আসতে হচ্ছে। গোগা বিলপাড়া গ্রামের লাল্টু নামে এক ব্যাক্তি জানিয়েছেন, এমনিতেই বিল ফসলের ওপরে নির্ভরশীল এখানকার মানুষজন। কিন্তু ত্রুটিপূর্ণ স্লুইসগেট নির্মানের ফলে ইছামতী নদীর জোয়ারের পানিতে প্রতিবছর প্লাবিত হয় বিলের জমি। এসমস্যা ৫০ বছর ধরে চলছে। তার ওপর চলতি বছর অতি বৃষ্টি ও ইছামতী নদী দিয়ে ভারতীয় পানি অব্যাহতভাবে প্রবেশ করায় বিল ছাপিয়ে পানি লোকলয়ে ঘর বাড়িতে ঢুকে পড়েছে। বন্যা পরিস্থিতির আকার ধারণ করেছে। মানুষের কাজ নেই, অনেকের ঘরে খাবার নেই। দুরবস্থার মধ্য দিন কাটছে দিন আনা দিন খাওয়া মানুষগুলোর।
হাফিজুর রহমান জানিয়েছেন, তার বাড়ীর চারিপাশে পানি। ঘরের ভেতরেও পানি। ইট দিয়ে খাট উচু করে তার ওপর পরিবার নিয়ে বাস করছেন। ঘরে পানি ঢোকার কারণে রান্না করতে পারছে না। এদিকে ঘরে চাল নেই। ত্রানও কেউ দিচ্ছে না।
শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ডাক্তার কাজী নাজিব হাসান জানিয়েছেন,তিনি প্রাবিত অঞ্চল পরিদর্শন করেছেন।পরিস্থিতির ওপর নজর রাখা হচ্ছে।ভারতীয় পানি প্রবেশ ঠেকাতে শুস্ক মৌসুমে খাল সংস্কারসহ নতুন ভাবে স্লুইসগেট নির্মান ও পানি নিস্কাসনের ব্যবস্থা করা হবে বলে তিনি জানান।

এই বিভাগের আরোও খবর

Logo