জামালপুর জেলার মেলান্দহ-মাদারগঞ্জ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য, সাবেক মন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজমের ফুফাত ভাই শহিদ হাজীকে কেন্দ্র করে মাদারগঞ্জে চাল সিন্ডিকেট গড়ে ওঠার অভিযোগ উঠেছে। তিনি মাদারগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হিসেবে আত্মীয়তার সম্পর্ক ও রাজনৈতিক প্রভাব কাজে লাগিয়ে দীর্ঘদিন ধরে সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল কেনাবেচা করে কোটিপতি বনে গেছেন বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।
স্থানীয়দের দাবি, শহিদ হাজী মাদারগঞ্জ উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের ভিজিডি, ভিজিএফ ও ওএমএসসহ বিভিন্ন সরকারি কর্মসূচির চাল সংগ্রহ করে বিভিন্ন মিল মালিকদের কাছে বিক্রি করে আসছেন। এমনকি তিনি চালের বস্তা পরিবর্তন করে নামী কোম্পানির লেবেল লাগিয়ে তা সরিষাবাড়ী, শেরপুর ও টাঙ্গাইলের মিলগুলোতে সরবরাহ করছেন।২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে মাদারগঞ্জে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মাঠে সক্রিয় থাকলেও শহিদ হাজী বিএনপি নেতাদের আত্মীয় পরিচয় দিয়ে চাল সিন্ডিকেট চালিয়ে গেছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক এলাকাবাসী জানান, শহিদ হাজী দীর্ঘদিন ধরে সরকারি উন্নয়ন প্রকল্পের চাল কালোবাজারে বিক্রি করছেন। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তারা।
এ বিষয়ে মাদারগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হাসান আল মামুন বলেন, "চাল সিন্ডিকেটের খবর পাওয়া মাত্রই পুলিশ পাঠিয়ে ইউএনও ও এসিল্যান্ডকে অবহিত করা হয়। তবে শহিদ হাজীর বিরুদ্ধে এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"মাদারগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাদির শাহ বলেন, "সরকারের বিভিন্ন বরাদ্দের চাল বিতরণ চলমান রয়েছে এবং আমরা সর্বোচ্চ সতর্কতার সঙ্গে কাজ করছি। সরকারি চাল কালোবাজারে বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।" স্থানীয় জনগণের দাবি শহীদ হাজী সরকারি যত চাল গম আছে তার একমাত্র ক্রেতা। আওয়ামী লীগের টানা ১৭ বছরের ক্ষমতা থাকা অবস্থায় তিনি সরকারী বিভিন্ন প্রকল্পের খাদ্য সামগ্রী অবৈধ ভাবে ক্রয় করে হাজার কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন। তিনি এখন একটি রাজনৈতিক দলের ছত্রছায়ায় টিকে আছে বিধায় স্থানীয় জনগণের দাবি শহীদ হাজী কে গ্রেফতার করা হোক। তাহলে চাল সিন্ডিকেট বন্ধ হবে।
