বৃত্তি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানসহ চারদফা দাবীতে প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি প্রদান যশোরে প্রাথমিক শিক্ষকদের

এসএম মিরাজুল কবীর টিটো প্রকাশিত: ৯ আগস্ট , ২০২৫ ১২:১৬ আপডেট: ৯ আগস্ট , ২০২৫ ১২:১৬ পিএম
বৃত্তি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানসহ চারদফা দাবীতে প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি প্রদান যশোরে প্রাথমিক শিক্ষকদের

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বৃত্তি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠান ও পরীক্ষা নিয়ে চলমান ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণসহ চার দফা দাবীতে প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি ও সহকারী শিক্ষক সমাজ যশোর জেলা শাখার নেতৃবৃন্দ বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে এ স্মারকলিপি প্রদান করেন।
স্মারকলিপিতে উল্ল্যেখ করা হয়েছে, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার মান উন্নয়নের লক্ষ্যে সরকারের গৃহীত মহতী উদ্যোড় সমূহের অংশ হিসেবে আগামী ২১, ২২, ২৩, ও ২৪ ডিসেম্বর বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের উদ্যোগে দেশের সকল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। দেশের বিভিন্ন সময়ের শিক্ষা জরিপগুলোতে দেখা যায় যে, অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে অধ্যয়নরত বেশির ভাগ শিক্ষার্থীই নিম্নবিত্ত ও অসচ্ছল পরিবারের সন্তান। এমতাব্যবস্থায় সরকারের গৃহীয় এই পদক্ষেপ দেশের দরিদ্র শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য আর্থিক প্রণোদনা গিসেবে তাদেরকে আরো বেশি বিদ্যালয়মূখী করবে। পক্ষান্তরে কিন্ডারগার্টেনে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা অধিকাংশ স্বচ্ছল পরিবারের সন্তান ও বেতন দিয়ে বিভিন্ন কিন্ডারগার্টেন স্কুলে পড়ে। ইতিমধ্যে দেশের বিভিন্ন  অ্যাসোসিয়েশনসমূহ তাদের তাদের শিক্ষার্থীদের এই পরীক্ষায় অংশ গ্রহণের অনৈতিক ও বৈষম্যমূলকদাবি উত্থাপনপূর্বক সারাদেশে আসন্ন বৃত্তি পরীক্ষায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি, পরীক্ষা বানচাল, পরীক্ষার সময় অরাজকতা সৃষ্টির হুমকি প্রদান করে বিভিন্ন বক্তব্য দিয়ে আসছে, যা কোন ভাবে কাম্য নয়। কারণ প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় দেশের সংবিধান ১৭(ক) অনুচ্ছেদ এবং বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা আইন ১৯৯০ মেনেই অবৈতনিক শিক্ষার্থীদের এই বৃত্তি পরীক্ষার আয়োজন করেছে। তাছাড়া এক্ষেত্রে সরকার বা মন্ত্রণালয়ের কোন পাবলিক ্রপাইভেট,পার্টনারশিপ চুক্তিরও কার্যকারিতা নেই। কাজেই তাদের পরীক্ষায় অংশ গ্রহণের এহেন দাবি অগ্রহণযোগ্য ও ১৭(ক) অনুচ্ছেদ এবং বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা আইন ১৯৯০অবৈতনিক শর্তের পরিপন্থি। তাই তারা কেন্দ্রগুলো সরকারি বিদ্যালয়সমূহে স্থাপন ও নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, প্রশ্নপত্র ও উত্তরপত্র নিরাপদে আনা-নেয়ার নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, কেন্দ্রের আশেপাশে অনাকাংখিত জনসমাগম ও আইন শৃঙ্খলা ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রন ও নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করণের দাবী জানানো হয়েছে।
স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় সিনিয়র সহসভাপতি গাজী শহিদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক একেএম নাজমুল ইসলাম, সদস্য মকলেচুর রহমান, সহকারী প্রাথমিক শিক্ষক সমাজের জেলা সভাপতি সুদেব কুমার, সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রহমান, প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি জেলার সিনিয়র সহসভাপতি ইকরামুল কবির উজ্জল সহসভাপতি জাহাঙ্গীর আলম,কেশবপুর উপজেলা সভাপতি শাহীনুর রহমান,সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান প্রমুখ।

এই বিভাগের আরোও খবর

Logo