বানারীপাড়ায় ভাতিজার শাবলের আঘাতে নিহত সুলতান খানের ঘাতকদের ফাসির দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্দ্বন অনুষ্ঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: ২৮ এপ্রিল , ২০২৫ ১২:২২ আপডেট: ২৮ এপ্রিল , ২০২৫ ১২:২২ পিএম
বানারীপাড়ায় ভাতিজার শাবলের আঘাতে নিহত সুলতান খানের ঘাতকদের ফাসির দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্দ্বন অনুষ্ঠিত
বরিশালের বানারীপাড়ায় ভাতিজার শাবলের আঘাতে নিহত ব্যাবসায়ী সুলতান খানের ঘাতকদের ফাসির দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্দ্বন অনুষ্ঠিত হয়েছে

বরিশালের বানারীপাড়ায় ভাতিজার শাবলের আঘাতে নিহত ব্যাবসায়ী সুলতান খানের ঘাতকদের ফাসির দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্দ্বন অনুষ্ঠিত হয়েছে।২৭ এপ্রিল রবিবার সকালে এ বিক্ষোভ ও মানববন্দ্বন অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলার ইলুহার ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মলুহার গ্রামে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে আপন ভাই ও ভাতিজার হামলায় গুরুতর আহত হয়ে ২১ দিন পরে ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় নিহত ব্যবসায়ী সুলতান হোসেন খান (৪৫) এর দাফন উপজেলার মলুহারের নিজ বাড়িতে সম্পন্ন হয়েছে। ২৭ এপ্রিল রবিবার সকাল ৮টায় উপজেলার মলুহার ওয়াজেদিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে তার নামাজে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে চির নিদ্রায় শায়িত করা হয়। জানাযায় শহস্রাধিক মানুষ অংশগ্রহণ করে। জানাজা শেষে স্কুলের সামনের সড়কে বিভিন্নস্তরের শহস্রাধিক মানুষ ওই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত ঘাতকদের ফাসির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। বিক্ষোভকারীরা অবিলম্বে সকল আসামীদের গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবি জানান।বিক্ষোভ ও মানববন্দ্বন শেষে তার লাশ মলুহার গ্রামের নিজ বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। গত ৫ মার্চ আপন ভাতিজা রুবেল খানের শাবলের আঘাতে আহত হওয়ার ২১ দিন পরে ২৬ এপ্রিল শনিবার ভোর সাড়ে ৫টার সময় সুলতান খান ঢাকা'র পিজি হাসপাতালে চিকিৎসাধিন অবস্থায় মারা যান।ওইদিন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়না তদন্ত শেষে রাত সাড়ে ১০টায় বানারীপাড়ার ইলুহার ইউনিয়নের মলুহার গ্রামের নিজ বাড়িতে তার লাশ এসে পৌছালে সেখানে স্বজনদের কান্নায় সর্বস্তরের মানুষের মাঝে আবেঘঘন পরিবেশ সৃষ্টি হয়। এলাকার পরিবেশ ভারী হয়ে ওঠে। নিহত সুলতান হোসেন খান এলাকায় সকলের কাছে একজন সধাহাজ্জ্বল ভাল মানুষ হিসেবে পরিচিত ছিলেন। পারিবারিক সুত্র জানায়,নিহত সুলতান হোসেন খান বানারীপাড়ার পার্শ্ববর্তী স্বরূপকাঠি উপজেলার ইন্দের হাট বন্দর বাজারে সুনামের সাথে কাপড় ব্যবসা করে আসছিলেন। উল্ল্যেখ্যযে, জমির ভাগা-ভাগি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে গত ৫ এপ্রিল শনিবার রাত ১১টার দিকে উপজেলার ইলুহার ইউনিয়নের মলুহার গ্রামে দুই ভাই শাহজাহান খান ও সুলতান হোসেন খানের মধ্যে বাকবিতন্ডার সময় শাহজাহান খানের ছেলে রুবেল খান চাচা সুলতান হোসেন খানকে শাবল দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন। এ সময় শাহজাহান খান ও তার ছেলে রুবেলের স্ত্রী লামিয়াসহ অপর আসামীরা কোদাল, পাইপ দিয়ে দিয়ে সুলতান খান'কে আঘাত করেন। ওইদিন রাতেই মুমুর্ষ অবস্থায় সুলতান হোসেনকে উদ্ধার করে প্রথমে বানারীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়।সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে মুমুর্ষ অবস্থায় তাকে ঢাকা'র পিজি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় ৬ এপ্রিল রবিবার সুলতান হোসেন খানের বোন নাসিমা বেগম বাদী হয়ে বানারীপাড়া থানায় মারধর ও হত্যা চেষ্টার অভিযোগে বড় ভাই শাহজাহান খান,ভাতিজা রুবেল খান, ভাতিজার স্ত্রী লামিয়া আক্তার, বোন নিলুফা বেগম ও মারুফা বেগম, ভগ্নিপতি মোশারফ হোসেন এবং শাহ আলমকে নির্দিষ্ট ও কয়েকজনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে বানারীপাড়া থানায় মামলা দায়ের করেন। ওই দিন (৬ এপ্রিল) মামলার এজাহারভুক্ত আসামী শাহজাহান খান, রুবেল খান ও লামিয়াকে গ্রেফতার করে বরিশাল জেলহাজতে পাঠায় বানারীপাড়া থানা পুলিশ।পরে রুবেলের স্ত্রী লামিয়া আক্তার জামিনে বের হলেও শাহাজান খান ও তার ছেলে রুবেল খান অদ্যবধি বরিশাল জেলহাজতে রয়েছেন। এ ব্যাপারে বানারীপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো: মোস্তফা জানান, গুরুতর আহত সুলতান হোসেন খান ঢাকা'য় চিকিৎসাধিন অবস্থায় নিহতের ঘটনায় পূর্বে দায়েরকৃত মামলাটিকে হত্যা মামলায় রূপান্তর করে দ্রুত বাকী আসামীদের গ্রেফতার ও বিচারের জন্য প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এই বিভাগের আরোও খবর

Logo