আজ মঙ্গলবার(১৭জুন২০২৫)ভোরে রাজশাহীর তানোর পৌরসভার প্রাণকেন্দ্র তানোর বাজারে সংঘটিত হয়েছে চাঞ্চল্যকর চুরির ঘটনা। এক রাতেই পরপর পাঁচটি দোকানে চুরি করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে নগদ টাকা ও মূল্যবান কাপড়সহ মালামাল। এতে ব্যবসায়ী ও স্থানীয়দের মধ্যে চরম উদ্বেগ ও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। পুলিশ ও ক্ষতিগ্রস্ত দোকানদারদের বরাতে জানা যায়, চোরেরা রাতের কোনো এক সময় পরিকল্পিতভাবে বাজারের বিভিন্ন দোকানে তালা ভেঙে প্রবেশ করে মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। পুরো ঘটনা ধরা পড়েছে বাজারে স্থাপিত সিসিটিভি ক্যামেরায়।
সিসিটিভি ফুটেজে চিহ্নিত দোকান ও ক্ষয়ক্ষতি:

আবুল কালাম আজাদ (সিট কাপড়ের দোকান):
এই দোকান থেকে চুরি হয়েছে প্রায় ৩,৫০,০০০ টাকা মূল্যের কাপড় ও নগদ অর্থ।

সম্পা রানী (সিট কাপড়):
এই দোকানে চুরির পরিমাণ প্রায় ৩০,০০০ টাকা। বেশ কিছু কাপড় নিয়ে গেছে চোরের দল।

আলমগীর (মুন গার্মেন্টস):
এই গার্মেন্টস দোকান থেকে চুরি হয়েছে প্রায় ২০,০০০ টাকা মূল্যের পণ্য।

আবু জাননান (মা মনি গার্মেন্টস):
চুরি হওয়া মালামালের মূল্য প্রায় ১,৫০০ টাকা। তবে দোকানের ভিতরে তছনছের চিহ্ন স্পষ্ট।

নায়েব আলী টেইলার্স:
এই দোকানেও চুরির চেষ্টা চালানো হয়। প্রাথমিকভাবে ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ না হলেও দোকানের তালা ভাঙার আলামত রয়েছে। ব্যবসায়ীদের প্রতিক্রিয়া:ক্ষতিগ্রস্ত দোকানদার আবুল কালাম আজাদ বলেন,এভাবে যদি চুরি হতে থাকে, তাহলে আমরা পথে বসব। প্রশাসনের আরও কঠোর নজরদারি দরকার। সম্পা রানী বলেন,
প্রতিদিন ভোরে দোকান খুলি, কিন্তু আজ দেখি দোকানের তালা ভাঙা আর কাপড়ের কোনো হদিস নেই। আমরা নিরাপদ নই।
বাজারে আতঙ্ক ও প্রশাসনের ভূমিকা স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, বাজার এলাকায় রাতের বেলায় কোনো ধরনের পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নেই। নিয়মিত নাইট গার্ড না থাকায় এই ধরনের চুরির ঘটনা দিনদিন বাড়ছে।
তানোর থানা পুলিশের এক কর্মকর্তা জানানঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজ যাচাই করা হচ্ছে এবং দোষীদের দ্রুত চিহ্নিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্থানীয়দের দাবি বাজারে নিয়মিত পুলিশ টহল নিশ্চিত করা আরও উন্নত সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন। নাইট গার্ড নিয়োগ ও বাজার কমিটির তদারকি বাড়ানো
উল্লেখ্য, তানোর বাজার এলাকায় আগেও একাধিকবার চুরির ঘটনা ঘটেছে। তবে এত অল্প সময়ের ব্যবধানে একসঙ্গে পাঁচটি দোকানে চুরি এই প্রথম।