কসবা হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে আইন ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি

রাসেল মিয়া প্রকাশিত: ৩১ জুলাই , ২০২৫ ১৬:২০ আপডেট: ৩১ জুলাই , ২০২৫ ১৬:২০ পিএম
কসবা হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে আইন ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার মেহারী ইউনিয়নের বল্লভপুর গ্রামের সাবেক পুলিশ সদস্য হাবিবুর রহমানকে সহ নিরপরাধ ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে আইন ও স্বরাষ্ট্র  উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে এ স্মারকলিপি প্রদান করেন ডাকবিভাগের মাধ্যমে হাবিবুর স্ত্রী রানুয়ারা বেগম।  
এসময় রানুয়ারা বলেন, হয়রানিমূলক মামলা থেকে তদন্তের মাধ্যমে  সাবেক পুলিশ সদস্য হাবিবুর রহমানকে  অব্যাহতি দেওয়া ও প্রকৃত দোষী ব্যক্তিদেরকে আইনের আওতায় এনে উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করার দাবী জানান। 
স্মারকলিপি সুত্রে জানা যায়, ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট মাসে দেশব্যাপী সংঘটিত ছাত্র-শ্রমিক-জনতার গণ-অভ্যুত্থান ছিল একটি স্বতঃস্ফূর্ত ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন। এই আন্দোলনের পেছনে ছিল ফ্যাসিবাদী দুঃশাসনের অবসান এবং শোষণ-বৈষম্যমুক্ত সমাজ গঠনের সংগ্রাম। কিন্তু দুঃখজনকভাবে, এই আন্দোলনকে কেন্দ্র করে  স্বার্থান্বেষী মহল সারাদেশে ন্যায়  পূর্ব শূত্রুতা জেরধরে কসবা উপজেলা মেহারী ইউনিয়ন সাবেক ছাত্রদলের নেতা এম এম বি মুরসালিন গংরা চাঁদা দাবী করেন, চাঁদা না দেওয়া আমার স্বামী সাবেক পুলিশ সদস্য হাবিবুর রহমানকে সহ নিরপরাধ ও সম্মানিত নাগরিকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। সেই ধারাবাহিকতায় চলতি বছরের এপ্রিল মাসে কসবা থানায় দায়ের হওয়া একটি বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলার তাকে ৪০ নম্বর এজহারভুক্ত আসামি করা হয়েছে।  অথচ হাবিবুর রহমান  সহ তার পরিবার দুই সন্তান পুলিশ ও নৌবাহিনী সৈনিক পদে চাকরিরত আছেন। আমার পরিবার নির্ভরযোগ্য দেশপ্রেমিক ও সম্মানিত নাগরিক। নিজ এলকায় পূর্ব শত্রুতা জেনে চাঁদাবাজ মুরসালিন স্বার্থনেষী মহলের যোগসাজসে  উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে মিথ্যা মামলায় প্রশাসনকে ভুল তথ্য দিয়ে  জড়িয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। তিনি কোন সময় কোন রাজনৈতিক দলের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন না বলে স্বারকলিপি প্রদান করেন।

এই বিভাগের আরোও খবর

Logo