রাজশাহীর তানোর উপজেলার বাধাইড় ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ মরহুম অধ্যাপক লুৎফর রহমানের নামে লীজকৃত এবং ক্রয়কৃত সম্পত্তিতে অবৈধভাবে হামলা ও দখল করার অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগে জানা যায়, মুন্ডুমালা বাজারে অবস্থিত এই গুরুত্বপূর্ণ সম্পত্তিতে বেশ কিছু দোকান ভাড়া দিয়ে রেখেছিলেন মরহুম লুৎফর রহমান। তার মৃত্যুর পর উত্তরাধিকারসূত্রে উক্ত সম্পত্তির দেখভাল করছিলেন তাঁর ছেলে তপন। কিন্তু সম্প্রতি নাচোল উপজেলার নিজামপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম, মুন্ডুমালার ঘর জামাই পরিচয়ে পরিচিত ব্যক্তি ‘ডলার’, এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার এক প্রভাবশালী ঠিকাদার রেনটু, একত্র হয়ে ওই জায়গা জোরপূর্বক দখলের চেষ্টা করেন। ভুক্তভোগী তপনের অভিযোগ, “তারা কোনো ধরনের নোটিশ বা আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ না করেই হঠাৎ ভেকু মেশিন নিয়ে আসে। আমার বাবার নামে বৈধ কাগজপত্র ও দীর্ঘদিনের দখলে থাকা দোকানগুলো ভাংচুর করে দখলে নেয়। এমনকি আমার বাবার তৈরি বিল্ডিং এর একেবারে ধার ঘেঁষে ভেকু মেশিন দিয়ে গভীর গর্ত করে মাটি কেটে ফেলে। এতে বিল্ডিং-এর ভিত্তি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
এ ঘটনায় এলাকার সাধারণ জনগণের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ ও উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। স্থানীয়দের মতে, মরহুম লুৎফর রহমান একজন জনপ্রিয় জননেতা ও শিক্ষাবিদ ছিলেন, যার অবদানে বহু শিক্ষার্থী উপকৃত হয়েছেন। তাঁর নামে থাকা সম্পত্তির ওপর এ ধরনের সন্ত্রাসী কায়দায় হামলা ও দখলের চেষ্টা অত্যন্ত নিন্দনীয়।
তপন আরও বলেন,আমি প্রশাসনের কাছে এ ব্যাপারে দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করছি। আমরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমাদের আইনি অধিকার যেন রক্ষা করা হয়, সেই দাবি জানাই।
এদিকে অভিযুক্ত চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম ও অন্যদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের পক্ষ থেকে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এ ঘটনাটি ইতোমধ্যে স্থানীয় প্রশাসন ও থানার নজরে এসেছে বলে জানা গেছে। আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে প্রস্তুতি নিচ্ছে ভুক্তভোগী পরিবার। উল্লেখ্য, এ ধরনের ঘটনা কেবল ব্যক্তি পরিবার নয়, বরং এলাকার আইনশৃঙ্খলা ও সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার ওপরও বিরূপ প্রভাব ফেলছে বলে মত দিয়েছেন স্থানীয় সচেতন মহল।
