নিম্নচাপ ও টানা বৃষ্টিতে তেঁতুলিয়া, কারখানা ও লোহালিয়া নদীর পানি বিপদসীমার ৩ থেকে ৪ ফুট উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় পটুয়াখালীর বাউফলে ভয়াবহ জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। ২৪ জুলাই থেকে টানা বর্ষণের ফলে উপজেলার অন্তত ২০টি গ্রামের হাজারো মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। প্লাবিত হয়েছে বসতঘর, কাঁচা রাস্তা, পুকুর ও ফসলি জমি।
বাউফল উপজেলার চন্দ্রদ্বীপ, কালাইয়া, নাজিরপুর, কাছিপাড়া, কেশবপুর ও ধুলিয়া ইউনিয়নের নিচু এলাকাগুলোতে এই জলাবদ্ধতা সবচেয়ে বেশি দেখা গেছে। বিশেষ করে নদী ঘেরা চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের দক্ষিণ, পশ্চিম ও উত্তরাংশের বাড়িঘর ও রাস্তাঘাট সম্পূর্ণ পানির নিচে তলিয়ে গেছে। দক্ষিণ চরওয়াডেলের খানকা বাজার থেকে হাওলাদারবাড়ি পর্যন্ত কাঁচা সড়কটি একাধিক জায়গায় ভেঙে পড়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা কালাইয়ার মো. আনোয়ার বলেন, “শুক্রবার থেকেই পানিবন্দি। রাস্তা-ঘাট, ঘর—সব পানির নিচে। সন্তানদের নিয়ে চরম কষ্টে দিন কাটছে।”
কেশবপুরের মমিনপুর গ্রামের কৃষক মজিবুর রহমান জানান, “তেঁতুলিয়ার পানি ঢুকে বীজতলা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। বীজ পচে যাচ্ছে। এতে বীজ সংকটে পড়তে পারি।”চন্দ্রদ্বীপের ইমরান হাওলাদার বলেন, “আমাদের চারপাশে নদী, কিন্তু বেড়িবাঁধ নেই। ফলে বাড়িতে পানি উঠে। সাপ, পোকামাকড়ও ঢুকে পড়ে। প্রতিদিন আতঙ্কে কাটে।”উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মিলন জানান, “বন্যার পানিতে বীজতলা ও সবজি ক্ষেত প্লাবিত হওয়ার খবর পেয়েছি। মাঠ পর্যায়ে ক্ষয়ক্ষতির তালিকা তৈরি করা হচ্ছে।”বাউফল উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ও দুর্যোগ মোকাবিলা কমিটির সদস্য সচিব মস্তফা মাইদুল বলেন, “আবহাওয়ার নিয়মিত বুলেটিন মনিটর করা হচ্ছে। দুর্যোগ মোকাবেলায় আমরা প্রস্তুত। প্রয়োজনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”