৭ লাখ ৭৬ হাজার ১৩১ ছেলে, মেয়েকে দেয়া
হবে টাইফয়েড কনজুগেট ভ্যাকসিন। ১ সেপ্টেম্বর যশোরে শুরু হবে “টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন । এই ক্যাম্পেইনে মাধ্যমে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীসহ কমিউনিটির মাধ্যমে (অস্থায়ী ক্যাম্প) ৭ লাখ ৭৬ হাজার ১৩১ ছেলে,মেয়েকে দেয়া হবে টাইফয়েড কনজুগেট ভ্যাকসিন।
এ ক্যাম্পেইন সফল করার লক্ষ্যে সোমবার সকালে সিভিল সার্জন অফিসের কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত জেলা এ্যাডভোকেসী সভায় এ তথ্য জানান সিভিল সার্জন ডাক্তার মাসুদ রানা।
সভায় জানানো হয় ৯ মাস থেকে ১৫ বছর পর্যন্ত ৯ম শ্রেণি অথবা সমমান শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বহির্ভূত সকল শিশুকে এ টিকা দেয়া হবে।পূর্বে এইচপিভি টিকায় নিবন্ধন করা থাকলে নতুন করে রেজিস্ট্রেশন ছাড়াই লগইন করে টাইফয়েড টিকার জন্য প্রোগ্রামে নিবন্ধন করা যাবে।
৭ লাখ ৭৬ হাজার ১৩১ টিকার মধ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৫ লাখ ২৬ হাজার ৬২২ শিক্ষার্থী ও কমিউনিটির মাধ্যমে ২ লাখ ৪৯ হাজার ৫০৯ ছেলেমেয়েকে এ টিকা দেয়া হবে।
এর মধ্যে সদর উপজেলায় দেয়া হবে ১ লাখ ৬৭ হাজার ৪৪১টি টিকা। এর মধ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে টিকা দেয়া হবে১ লাখ ১৩ হাজার ১৭৫টি। ছাত্র ৫৭ হাজার ২৫৪ ও ছাত্রী ৫৫ হাজার ৯২১। কমিউনিটিতে(অস্থায়ী ক্যাম্প) দেয়া হবে ৫৪ হাজার ২২৬ টিকা। ছেলে ২৭ হাজার ৮৬৮ ও মেয়ে ২৬ হাজার ৩৯৮। যশোর পৌরসভায় দেয়া হবে ৪২ হাজার ৩৭টি টিকা। এর মধ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দেয়া হবে ৩১ হাজার ৭৩৪ টি টিকা। ছাত্র ১৬ হাজার ৫৪৬ ও ছাত্রী ১৫ হাজার ১৮৮। কমিউনিটিতে দেয়া হবে ১০ হাজার ৩০৩ টিকা। ছেলে ৫ হাজার ২৪৭ ও মেয়ে ৫ হাজার ৫৬। শার্শায় দেয়া হবে ৯৯ হাজার ৩১৮ টিকা। এর মধ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৬৩ হাজার ৭৪০ টিকা দেয়া হবে। ছাত্র ৩১ হাজার ৭৫৩ ও ছাত্রী ৩১ হাজার ৯৮৭। কমিউনিটিতে দেয়া হবে ৩৫ হাজার ৫৭৮ টিকা। ছেলে ১৭ হাজার ৭২০ ও মেয়ে ১৭হাজার ৮৫৮। মনিরামপুরে দেয়া হবে ১ লাখ ১৫ হাজার ২৯০ টি টিকা। এর মধ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৭৭হাজার ১৭৫টি টিা দেয়া হবে। ছাত্র ৩৮ হাজার ৩৪ ও ছাত্রী ৩৯ হাজার ১৪১। কমিউনিটিতে দেয়া হবে ৩৮ হাজার ১১৫ টিকা। ছেলে ১৯ হাজার ৬৩৩ ও মেয়ে ১৮ হাজার ৪৮২। কেশবপুরে দেয়া হবে ৬৯ হাজার ৭৩৫ টিকা। এর মধ্যে শিক্ষার্থী প্রতিষ্ঠানে ৪৬ হাজার ৫৪১ টিকা দেয়া হবে। ছাত্র ২৩হাজার ২৯৬ ও ছাত্রী ২৩ হাজার ২৪৫। কমিউনিটিতে দেয়া হবে ২৩ হাজার ১৯৪ টিকা। ছেলে ১১ হাজার ৮০১ ও মেয়ে ১১ হাজার ৩৯৩। ঝিকরগাছায় দেয়া হবে ৮৪ হাজার ৪২১ টিকা। এর মধ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৫৭ হাজার ৬৭ টিকা দেয়া হবে। ছাত্র ২৮ হাজার ১০৪ ও ছাত্রী ২৮ হাজার ৯৬৩। কমিউনিটিতে দেয়া হবে ২৭ হাজার ৩৫৪ টি টিকা। ছেলে ১৩ হাজার ৭১২ ও মেয়ে ১৩ হাজার ৬৪২। চৌগাছায় দেয়া হবে ৬৩ হাজার ৭৬৬ টিকা। এর মধ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৪৪ হাজার ৪৬৯টি টিকা দেয়া হবে। ছাত্র ২২ হাজার ৮৭ ও ছাত্রী ২২ হাজার ৩৮২। কমিউনিটিতে দেয়া হবে ১৯ হাজার ২৯৭ টিকা। ছেলে ৯ হাজার ৭৯৬ ও মেয়ে ৯ হাজার ৫০১। বাঘারপাড়ায় দেয়া হবে ৬৪হাজার ৬৩৫ টিকা। এর মধ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৪৪ হাজার ৩৯৫ টিকা দেয়া হবে। ছাত্র ২২ হাজার ৪৬২ ও ছাত্রী ২১ হাজার ৯৩৩। কমিউনিটিতে দেয়া হবে ২০ হাজার ২৪০টি টিকা। ছেলে ১০ হাজার ৪২৮ ও মেয়ে ৯ হাজার ৮১২।অভয়নগরে দেয়া হবে ৬৯ হাজার ৪৯৬ টিকা। এর মধ্যে এর মধ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৪৮ হাজার ৩২৬ টিকা দেয়া হবে। ছাত্র ২৪ হাজার ৩ ও ছাত্রী ২৪ হাজার ৩২৩। কমিউনিটিতে দেয়া হবে ২১ হাজার ১৬২টি টিকা। ছেলে ১০ হাজার ৮৯১ ও মেয়ে ১০ হাজার ২৭১।
এ্যাডভোকেসী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক আজাহারুল ইসলাম। তিনি বলেন, টিকা দেয়ার ক্ষেত্রে মায়েরা গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করেন। সেই সাথে শিক্ষার্থীরাও সচেতন। কিছু কিচু কোম্পানী সরকারের কার্যক্রমকে সামনে রেখে প্রলোভন দেখানো চেষ্টা করে। সেই প্রলোভন ঠেকাতে হবে।
সিভিল সার্জন ডাক্তার মাসুদ রানার সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক ও যশোর পৌর প্রশাসক রফিকুল হাসান, প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন, ইমাম পরিষদের সেক্রটারী বেলায়েত হোসেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার-খ সার্কেল রাজিবুল ইসলাম, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপপরিচালক ইকরামুল ইসলাম শাওন, জেলা পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের উপপরিচালক দিলদার হোসেন, জেলা শিক্ষা অফিসার মাহফুজুল হোসেন, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আশরাফুল আলম প্রমুখ।