২৮ বর্ডারগার্ড ব্যাটালিয়ান(বিজিবি)”র সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার পেকপাড়া বিওপি কর্তৃক বাংলাবাজার ইউনিয়নের মোকামছড়া নামকস্থানে টহলরত অবস্থায় একদল সংঘবদ্ধা চোরাকারবারীচক্র সীমান্ত অতিক্রম করে ভারত থেকে অবৈধভাবে একটি গরুুর চালান বাংলাদেশে নিয়ে আসার সময় সীমান্ত বাহিনী বিজিবি”র সদস্যরা ধাওয়া করলে তাদের উপর ইট পাটকেল,বাঁশের লাঠি,হাসুয়া ও চাকু দিয়ে হামলা চালায়। এতে সীমান্ত বাহিনী বিজিবি”র সদস্যরা আহত হন।ঘটনাটি ঘটেছিল চলতি বছরের গত ২২ মার্চ বিকেলে। এই ঘটনায় গত ২৪ মার্চ বিজিবি” বাদি হয়ে স্থানীয় দোয়ারাবাজার থানায় হামলাকারী ৮জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করা হয়। যার মামলা নং- ২৪/৭২। এই হামলার ঘটনায় গত ১২ আগষ্ট স্থানীয় বিজিবি”র সহায়তায় দোয়ারাবাজার থানা পুলিশ ৫ ও ৭ নম্বর আসাসমীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হন।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন দোয়ারাবাজার উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নের পেকপাড়া গ্রামের সমশের আলীর ছেলে চোরাকারবারী খোকন মিয়া(৩২),একই গ্রামের লিচু মিয়ার ছেলে সিরাজ মিয়া(২৭) ।
অপরদিকে ২৮ বর্ডারগার্ড ব্যাটালিয়ান(বিজিবি)”র সীমান্তবর্তী তাহিরপুর উপজেলার লাউরগড় বিওপি কর্তৃক লাউরগড় এলাকায় একটি চিহিৃত সংঘবদ্ধ চোরাকারবারীচক্র সীমান্ত অতিক্রম করে অবৈধপস্থায় ভারত থেকে অবৈধ ভারতীয় পণ্য বাংলাদেশে নিয়ে আসার সময় লাউরগড় বিওপি”র কমান্ডারসহ টহলদলের সদস্যরা চ্যালেঞ্জ করলে চোরাকারবারীচক্র বিজিবি”র সদস্যদের উপর অতর্কিতে হামলা চালিয়ে তাদের আহত করেন।
ঘটনাটি ঘটেছিল গত ৬ ই আগষ্ট বিকেলে। এই হামলায় বিজিবি”র সদস্যরা আহত হন এবং একটি স্প্রীডবোড ক্ষতিসাধিত হয়।
এই ঘটনায় বিজিবি”র পক্ষ থেকে হামলার সাথে জড়িত ৪জন চোরাকারবারীকে আসামী করে তাহিরপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। যার মামলা নং -০৬,তারিখ-০৬/০৮/২০২৫ইং। এই হামলার ঘটনায় গত ১২ই আগষ্ট স্থানীয় বিজিবি”র সহায়তা তাহিরপুর থানা পুলিশ মামলার ২ নং,৩নং ও ৪নং আসামীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হন।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন তাহিরপুর উপজেলার লাউরগড় গ্রামের মৃত গিয়াস উদ্দিনের ছেলে চোরাকারবারী মোঃ আলী(২৫),সাহিদাবাদ গ্রামের মৃত আবু বক্করের ছেলে মোঃ আজবিরুল ইসলাম(২৫) ও লাউরগড় গ্রামের মোস্ত মিয়ার ছেলে মোঃ কাজী মিয়া(৩০)।
এ ব্যাপারে ২৮ বর্ডারগার্ড ব্যাটালিয়ান(বিজিবি)”র সুনামগঞ্জ অঞ্চলের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল একেএম জাকারিয়া কাদির ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান,পাশর্^বর্তী ভারতের সাথে সুনামগঞ্জে কয়েকটি উপজেলায় ৯০ কিলোমিটার সীমান্ত এলাকা রয়েছে এবং এই ৯০ কিলোমিটার সীমান্ত এলাকা ১৯টি বিওপির সদস্যরা সার্বক্ষনিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করে থাকেন। কিন্ত বর্তমানে চোরাকারবারীচক্রের সদস্যরা আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যদের উপর হামলা একটি নিত্য নৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে দাড়িঁয়েছে। তারপরেও আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা কঠোর অবস্থানের কারণে চোরাকারবারীদের অপতৎপরা রোধে আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যদের কঠোর অবস্থানের জন্য তাদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি প্রদান নিশ্চিত করায় চোরাকারবারীদের মনোবল ভেঙ্গে পড়েছে। এইসব হামলাকারীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার কারণে আইন শৃংখলা বাহিনীর উপর হামলার ঘটনা অনেকাংশে কমে আসছে বলে মনে করেন তিনি।