নলছিটি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগী দেখেন ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধি, নিষেধ করায় ইউএইচএফপিওকে প্রাণনাশের হুমকি

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: ১৮ জুন , ২০২৫ ১৭:৩০ আপডেট: ১৮ জুন , ২০২৫ ১৭:৩০ পিএম
নলছিটি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগী দেখেন ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধি, নিষেধ করায় ইউএইচএফপিওকে প্রাণনাশের হুমকি

ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শরীফ ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেডের প্রতিনিধি মোহাম্মদ মহসিন নিয়মিত রোগী দেখেন—এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি নিষেধ করায় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ইউএইচএফপিও) ডা. শিউলী পারভীন ও প্রধান নির্বাহী মো. মিজানুর রহমানকে হুমকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এমনকি মো. মিজানুর রহমানকে “হাত-পা ভেঙে ফেলা” ও “জান থেকে মারার” হুমকি দেন তিনি। এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ জানায়, কথিত সাংবাদিক পরিচয় দেওয়া মোহাম্মদ মহসিন দীর্ঘদিন ধরে জরুরি বিভাগ এবং স্যাকমোদের কক্ষে গিয়ে নিজে নিজেই রোগী দেখেন ও চিকিৎসকদের কাজে হস্তক্ষেপ করেন। বিষয়টি ইউএইচএফপিও’র নজরে এলে তিনি তাকে এ কাজ থেকে বিরত থাকতে বলেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মহসিন চিকিৎসক ও কর্মকর্তাদের ভয়ভীতি দেখাতে শুরু করেন।
গত ১৭ জুন মোহাম্মদ মহসিন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসে প্রধান নির্বাহী মো. মিজানুর রহমানের কক্ষে প্রবেশ করে আউট সোর্সিং নিয়োগের কাগজপত্র দেখতে চান। তখন তাকে জানানো হয়, কাগজপত্র সিভিল সার্জনের অফিসে সংরক্ষিত। এতে তিনি উত্তেজিত হয়ে মো. মিজানুর রহমানকে শারীরিকভাবে আক্রমণের হুমকি দেন এবং বলেন, "এখানে চাকরি করতে হলে আমাকে সবকিছু জানাতে হবে।"
এ বিষয়ে প্রধান নির্বাহী মো. মিজানুর রহমান বলেন, “মোহাম্মদ মহসিন সাংবাদিকতার ভয় দেখিয়ে দীর্ঘদিন ধরে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নানা অনিয়ম করছেন। আমাদের বিরুদ্ধে ফেসবুকে মিথ্যা তথ্য ছড়ান। সর্বশেষ আমার কক্ষে ঢুকে আমাকে শারীরিকভাবে আঘাতের হুমকি দেন। থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।”
ইউএইচএফপিও ডা. শিউলী পারভীন বলেন,
> “মোহসিনকে বারবার নিষেধ করা হলেও তিনি চিকিৎসা কার্যক্রমে হস্তক্ষেপ করছেন, অফিসে এসে কাগজপত্র এলোমেলো করছেন এবং ফেসবুকে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়াচ্ছেন। তার কারণে আমরা চরম অসুবিধায় আছি।”
অভিযুক্ত মোহাম্মদ মহসিন অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “আমি হাসপাতালের নিয়োগ সংক্রান্ত কাগজপত্র দেখতে চেয়েছিলাম। কেউ হুমকি দিইনি, রোগীও দেখি না। আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ করা হচ্ছে, তা মিথ্যা।”
নলছিটি থানার ওসি আব্দুস ছালাম বলেন,
“এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

এই বিভাগের আরোও খবর

Logo