জেলা প্রতিনিধি, ভোলা
এ ছাড়া খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির সংকটের পাশাপাশি ছড়িয়ে পড়েছে পানিবাহিত বিভিন্ন রোগ বালাই। পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে মেঘনা নদীর দৌলতখান পয়েন্ট দিয়ে বিপৎসীমার ৬৪ সেন্টিমিটার এবং তজুমদ্দিন পয়েন্ট দিয়ে ৭৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।জানা গেছে, ভোলা সদরের রাজাপুর ইউনিয়নের ৭ গ্রামসহ কাচিয়া, মাঝের চর, ধনিয়া, মদনপুর, মেদিয়া, চর পাতিলা ও ঢালচর সহ অন্তত ২০ গ্রামে প্রবেশ করেছে মেঘনার জোয়ারের পানি।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) দুপুরে পরানগঞ্জ ভোলা নাজিউর রহমান কলেজের সামনে ভোলা-ইলিশা আঞ্চলিক মহাসড়ক অবরোধ করে এ বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা।জানা গেছে, কোটা সংস্কারের দাবীতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উপর ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) দুপুর ২টায় ভোলা সরকারি কলেজের সাধারণ ছাত্র-ছাত্রী ও বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন কোটা সংস্কার আন্দোলনের ডাক দেয়।
নদী ভাঙ্গনে দিশেহারা ঐ জনপদের বসতি ছাড়া আর কিছু নেই। নদীতে মাছ শিকার ও কৃষি কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করা ছাড়া তাদের আর কোনো উপায় নেই। পৈত্রিক পেশাকে ধরে জীবিকা নির্বাহ করছে হাজার হাজার পরিবার।এসব অঞ্চলে প্রাথমিক বা কিছু জায়গায় মাধ্যমিকের আলো পৌঁছালেও যেন শিক্ষা গ্রহণ না করেই জেলে বা কৃষক হিসেবে গড়ে উঠছে তাদের শিশুরা।
এছাড়াও গত বুধবার (১৯ জুন) তজুমউদ্দিন উপজেলার চৌমুহনী এলাকায় খেলার মাঠ, মঙ্গলবার (১৮ জুন) সদর উপজেলার পূর্ব ইলিশায় ইউপির পাকার মাথা এলাকায় বসতবাড়ির পাশের জালের সঙ্গে প্যাঁচানো অবস্থায় একটি রাসেল ভাইপার উদ্ধার করা হয়। গত মঙ্গলবার রাতে দৌলতখান উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের জালু মাঝির বসতঘর, রোববার (১৬ জুন) লালমোহনের লর্ড হার্ডিঞ্জ ইউপির সৈয়দাবাদ এলাকায় একটি বাড়ির বাথরুমে, বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা মনপুরা ও সাগর উপকূল উপজেলা চরফ্যাশনের বিভিন্ন ইউনিয়নে আরো ৫টি রাসেলস ভাইপার সাপ দেখা যায়। পরে স্থানীয়রা আতঙ্কিত হয়ে সাপগুলোকে মেরে ফেলেন। এর মধ্যে তজুমউদ্দিন উপজেলায় পাওয়া একটি সাপ বনবিভাগের তত্ত্বাবধানে রয়েছে। এ ঘটনার পর থেকে জেলাজুড়ে সর্বসাধারণের মাঝে রাসেলস ভাইপার আতঙ্ক বিরাজ করছে।
স্থানীয় বাসিন্দা আরিফুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার সকালের দিকে শান্তির হাট এলাকার চায়না ইপিজেড সংলগ্ন নদীর তীরবর্তী এলাকায় রাসেল ভাইপারটিকে স্থানীয় লোকজন দেখতে পায়। ওই সময় স্থানীয় লোকজন সাপটিকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে মেরে মাটিতে পুঁতে ফেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাতে জালু মাঝির বসতঘরে খাটের নিচে তিনটি বিড়াল মৃত অবস্থায় দেখেন ঘরের লোকজন। পরে ঘরের লোকজন অনেক খোঁজাখুঁজির পর হঠাৎ করে বিষধর সাপ রাসেল ভাইপারকে বের হতে দেখেন। এই দৃশ্য দেখে তারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। পরে বাড়ির লোকজন এসে সাপটিকে পিটিয়ে মেরে ফেলেন। পরে জানতে পারেন সাপটি বিষধর রাসেল ভাইপার।
ভোলার খালের আড়ৎদার মোঃ আলমগীর হোসেনের আড়ৎ-এ তোলা হলে নিলামে মাছটি শরীফ বেপারি ৭ হাজার ২শ’ টাকায় কিনে নেয়।কামাল মাঝি বলেন, নদীতে কোন মাছ নাই, ৬ জন বাগি নিয়ে ৩ দিন আগে নদীতে গেছি যে মাছ পাইছি তাতে বাজার খরচও হয়নি, তার ভিতরে আল্লাহ এই মাছটি দিছে বিক্রি করে ৭ হাজার টাকা পাইছি।
ভোলা জেলার ইতিহাস থেকে জানা যায়, ১২২০ সালের দিকে ভোলায় প্রথম চর জাগতে শুরু করে। প্রায় ১০০ বছর পর, ১৩০০ সালের দিকে এখানে চাষাবাদ শুরু হয়। ১৩৩৫ সাল নাগাদ দক্ষিণ শাহবাজপুরে (ভোলার আদি নাম) বসতি স্থাপন শুরু হয়।শাহবাজপুর ছাড়াও আশপাশের নদীতে জেগে ওঠে নতুন নতুন অসংখ্য চর। তখন থেকে শুরু হয় মহিষ লালন-পালন। সেখান থেকেই মহিষের দুধের কাঁচা টক দধির প্রচলন। তা ধীরে ধীরে নাম যশে বাড়তে থাকে এর চাহিদা। বর্তমানে সারাবছরই কাঁচা বৈষা দইয়ের চাহিদা থাকে। এখানকার অতিথি আপ্যায়নের অন্যতম উপাদান এটি। এ টক দধি গুড়,মিষ্টি অথবা চিনি দিয়ে খাওয়া যায়। এ ছাড়াও এ দুধের ছানার রসগোল্লা, রসমালাইয়ের স্বাদও অতুলনীয়। এ টক দধি সব সামাজিক, পারিবারিক ও ঘরোয়া অনুষ্ঠানে থাকতেই হবে। এ যেন এক ঐতিহাসিক রীতিনীতি। খাবার হজমে, ডায়াবেটিস ও হার্টের সমস্যায় কাঁচা দুধের দধি উপকারিতা রয়েছে। এ ছাড়াও, এই দই অধিক পরিমাণ প্রোটিন সমৃদ্ধ।